ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলা, নিহত ১৮

ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ১৫৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ১৮ জন নিহত এবং ১৩২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) কিয়েভের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে গুদাম, স্কুল, বাড়ি এবং একটি প্রসূতি হাসপাতাল।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়া প্রথমে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছিল।

এর পরে কমপক্ষে ৫৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ৫টি অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-রাডার মিসাইল ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ৩৬টি ড্রোনের মধ্যে ২৭টি, সেই সাথে ৮৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, রুশ হামলায় ১৮ জন নিহত এবং ১৩২জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কিয়েভে ৩ জন নিহত এবং ২২ জন আহত। ডিনোপ্রোতে ৫ জন নিহত ও ১৮ জন আহত। খারকিভে তিনজন নিহত এবং ১৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত। জাপোরিঝজিয়া ৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত। ওডেসা ২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত ও লভিভে ১ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

টেলিগ্রামের এক পোস্টে কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো জানিয়েছেন, কিয়েভ এবং ইউক্রেন জুড়ে অন্যান্য অনেক এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী বলেছে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের হুমকি রয়েছে। রাশিয়ার কুরস্ক থেকে মধ্য ইউক্রেনের চেরকাসি অঞ্চলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেন জুড়ে একের পর এক হামলায় সব লক্ষ্যবস্তুই আঘাত হেনেছে।

তারা বলেছে, ২৩ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‌‘নির্ভুল অস্ত্র এবং মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান’ দিয়ে ৫০টি গ্রুপ স্ট্রাইক এবং একটি ব্যাপক স্ট্রাইক করা হয়েছে। রাশিয়ান বাহিনী সামরিক স্থাপনা এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে।