অস্ত্রসহ ১১ মামলার আসামি গ্রেপ্তারের সময় ২ পুলিশ গুরুতর আহত

সিলেটের সীমান্ত এলাকার গোয়াইনঘাট থানার লেক্সগুড়া ইউনিয়নের সতি গ্রামের কামরুল ইসলাম (৩০)কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানসহ মোট ১১টি মামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছ

এ ছাড়াও আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ টিমের ওপর আসামি ও তার স্বজনরা হামলা চলালে দুজন পুলিশ আহত হন।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার রাতে আসামি কামরুলের বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করে। এ সময় এসআই কামাল হোসেন ফোর্সসহ আসামি কামরুল ইসলামের বসতঘরে প্রবেশ করলে কামরুল ধারালো দা হাতে নিয়ে পুলিশকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় দুইজন পুলিশ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন।

পুলিশ জানায়, আটকের একপর্যায়ে বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তার বিছানার নিচ থেকে ৩ ফুট লম্বা ধারালো তরবারি, ১টি ধারালো দা, ১টি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এ সময় কামরুলের মা ধৃত আসামি জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার রুমি ও কামরুলের ফুফাতো ভাই আব্দুল বাসিত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কামরুলকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় কমরুলও আহত হয়। পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে কামরুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিওমেক হাসপাতালে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনসাধারণের সহযোগিতায় কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাধ দমনে সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশিত ছকে অপরাধ ও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।