ব্যক্তিগত গাড়ি রফতানিতে জাপানকে ছাড়িয়ে শীর্ষে চীন

সিএএএম অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইভি এবং অন্যান্য নতুন জ্বালানির যানবাহনের রফতানি বার্ষিক হিসাবে ৭৭ শতাংশ বেড়ে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শুধু কার রফতানি হয়েছে ৩৪ শতাংশ।

চীনের বেশির ভাগ যানবাহন রফতানি হয় ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। টেসলা ও বিওয়াইডি এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে।

বিওয়াইডির এসইউভি অটো-৩ ইউরোপে ৩৮ হাজার ইউরোয় (প্রায় ৪২ হাজার ডলার) বিক্রি হচ্ছে। এটা তুলনামূলক কম দাম। কারণ এ অঞ্চলের গড় ইভির দাম ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ইউরোর মধ্যে থাকে।

চীনা কার কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রফতানি বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে আগে থেকে জাপানি কার কোম্পানিগুলো মার্কেট তৈরি করে রেখেছে। কিন্তু জাপানে কার কোম্পানিগুলোকে ইভিতে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিবর্তনের ফলে জাপান ক্রমে প্রতিযোগিতা হারাচ্ছে। এছাড়া চীনা কারের থাইল্যান্ডে রফতানি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের রফতানিকে ছাড়িয়ে গেছে।

মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যালিক্সপার্টনারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোমোয়ুকি সুজুকি বলেন, ‘‌রফতানিতে চীনা কার প্রস্তুতকারকদের অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। কারণ চীনে ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি পেয়ে থাকেন, যা তাদের উৎপাদন এবং সরবরাহকে সহজ করে দেয়। অন্য দেশের কোম্পানিগুলোর তুলনায় প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে।’